Thursday 3 March 2022


 বইয়ের নামঃ-যৌতুক একটি অপরাধ🛑

লেখকঃ-শেখ মুহাম্মদ আবদুর রহীম

প্রকাশকঃ-ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ 

প্রথম প্রকাশকালঃ-জানুয়ারী ২০০৬

আমার কেনাঃ-১১অগাস্ট২০১১

তৃতীয় সংস্করণঃ-নভেম্বর ২০০৮

🔗মূল বিষয়ঃ-যৌতুক নামক কু-প্রথা ইসলামে হারাম এই বিষয়ের উপরে। 


📖সংক্ষিপ্ত বিবরণঃইসলাম বিবাহকে মহিমান্বিত করেছে পবিত্র কুরআন কারীমে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন √আর তার নির্দশনের মধ্যে রয়েছে যে তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য তোমাদের থেকে জোড়া যাতে তোমরা শান্তি পাও তাদের কাছে এবং সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাঝে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা(দয়া) অবশ্যই এতে রয়েছে বহু নিদর্শন সে লোকদের জন্য যারা চিন্তা করে (সূরা রূম আয়াত-২১)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- সর্বাপেক্ষা বরকত মনে হলো ওই বিবাহ-শাদী যা কম খরচে সম্পন্ন করা হয় (বাইহাকী, মিশকাত) অথচ নানারকম রসম-রেওয়াজের কারণে এই পবিত্র বন্ধন আজ হুমকির সম্মুখীন এরমধ্যে যৌতুক নামক কুপ্রথা অন্যতম। এই যৌতুক প্রথা আমাদের মানুষের জন্য ভয়াবহ অভিশপ্ত ব্যাধি হয়ে দেখা দিয়েছে। দিনকে দিন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা-মাতাদের  সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। সঠিক বয়সে বিবাহ না দিতে পেরে সমাজ উচ্ছন্নে যাচ্ছে। ইসলামী শারী'আহ্'তে কিছু ক্ষেত্রে ভিক্ষাবৃত্তিও জায়েজ করা হয়েছে কিন্তু যৌতুককে জায়েজ করা হয়নি। 

আমরা চাই মানুষ একদিন এই বিষয়টা বুঝবে এবং 100% বিবাহ যৌতুক না নিয়ে সম্পন্ন হবে। 

🖊️মন্তব্যঃবইটিতে  অনেক'সুন্দর করে যৌতুকের অপকারিতা এবং এ অভিশপ্ত কু-প্রথা থেকে উত্তরণের পথ এবং আইন-কানুন সহ বিবাহের পবিত্র বন্ধন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বইটি যে কেউ পড়তে পারবে।এ  বই অনেক খুঁজে খুঁজে আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। অনেক সময় আউট অফ প্রিন্ট থাকার সম্ভাবনাই বেশী নাও পাওয়া যেতে পারে।

 বইয়ের নামঃছোটদের ইমাম গাযযালী

লেখকঃকাজী আবু মোহাম্মদ আবদুল্লাহ্

প্রকাশকঃইসলামিক ফাউন্ডেশন 


তৃতীয় প্রকাশঃ২০১৪

আমার কেনাঃ১২এপ্রিল ২০১৫

পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ২৪

📖মূল বিষয়ঃইমাম গাযযালী রহমাতুল্লাহি ওয়া আলাইহি এর জীবন দর্শন।

সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন মুজাদ্দিদ ছিলেন আল্লাহর ইবাদত ভুলে মানুষ তখন নানা পাপ কাজে ডুবে যেতে শুরু করেছিল শিরক ও বিদআত এবং নানারকম ভ্রান্ত বিশ্বাস আর কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে সমগ্র মুসলিম জাহান তখন ইসলামের সত্য পথ থেকে অনেক দূরে চলে যেতে শুরু করেছিল। এদিকে শিক্ষিত সমাজ তখন প্লেটো এরিস্টটল ও অন্যান্য পাশ্চাত্য দার্শনিকদের জড়বাদী মতবাদে বিভ্রান্ত হয়ে তাদের ঈমান ও আক্বীদা একেবারেই হারাতে বসেছিল,ঠিক তখনই আল্লাহর রহমত রূপেই মনীষী ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি ওয়া আলাইহির জন্ম হয়। তার জন্ম হয় তেহরান শহরে ১০৫৮ঈসায়ী সালে, অর্থাৎ ৪৫০ হিজরীতে। 


🖊️মন্তব্যঃএই বইটি অনেক ভালো এবং ছোটদের উপযোগী করে লেখা। আমরা যদি ছোটদের তথাকথিত পথভোলা ওয়েস্টার্ন আদর্শে বিম্বাসী প্রগতিত স্রোতে ভাসা সেলিব্রেটিদের আজেবাজে কাহিনী না শুনিয়ে, বড় বড় ইমামদের সুন্দর সুন্দর জীবন দর্শন শিখাতে পারি তাহলে আমাদের শিশুরা এমনকি আমরাও তা পড়ে  উপকৃত হব। এই বইটি আমি আজ থেকে ৭ বছর আগে কিনেছিলাম নিজে পড়ার জন্য এবং সংগ্রহে রাখার জন্য ছোটদের বই পড়লে নিজেকে তখন ছোট্ট শিশুদের মত সরল মনে হয় ভালো লাগে।আমাদের কঠিণ কঠোর ইট কাঠ মার্কা হৃদয়গুলো শিশুদের মতো সরল হোক এই শুভকামনা।🌴

 রোজ ঘুম থেকে উঠেই নিজেকে নিয়ে ভাবি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। আবার ঘুমোতে গিয়ে অন্ধকার ঘরে নিজের কবর নিয়ে ভাবি। আজকাল ভাবুক কমে যাচ্ছে। ভাবনা/চিন্তা ও দর্শনই জ্ঞানের ৮০ ভাগ... নিজেকে নিয়ে ভাবুন পৃথিবী নিয়ে ভাবুন আল্লাহকে নিয়ে ভাবুন আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে ভাবুন।। আমি ভুল করছি রোজ আপনিও ভুল করছেন প্রতিদিন।আমাদের ভুলগুলো যেন নিয়মে পরিণত না হয় এবং কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে যেন আমরা সংশোধিত হই।আর একজন প্রকৃত হক্কানী যুহুদ পন্থী আলেমের সাহচর্যে থাকা খুবই দরকারী অন্তত সরাসরি না হলেও তাদের কিতাব পড়া উচিত এবং পরামর্শ নিয়ে চলা উচিত।তবে প্রকৃত আলেম কিন্তু শতকরা ১জন,তাকে খুঁজে বের করার জন্য পরশপাথর দরকার এবং সেটা হলো কুরআন,হাদীছ,নবীজির জীবনী।আপনি যতো বেশি কুরআন,হাদীছ,সীরাহ(নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী)জানবেন পড়বেন,গভীরে প্রবেশ করবেন ততই পরশপাথর পাবেন।